বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০২:১৫ পূর্বাহ্ন
দৈনিক দেশ সংবাদঃ রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার পাশাপাশি গ্যাস, বিদ্যুৎ, মূলধন ও ডলারসংকট, কাঁচামালের অপর্যাপ্ততা, শ্রমসংকট, পণ্যের চাহিদা কমে যাওয়াসহ নানা কারণে মুখ থুবড়ে পড়েছে দেশের শিল্প খাত। বড় থেকে ছোট সব শিল্পই কমবেশি সংকটে পড়েছে। পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, বছরভিত্তিক হিসেবে গত অক্টোবরে দেশের গুরুত্বপূর্ণ শিল্পগুলোর মধ্যে সিমেন্ট, লাইম ও প্লাস্টার, রড ও স্টিল, ওষুধ, ওয়েভিং টেক্সটাইল, নিট ফেব্রিক্স, জুট টেক্সটাইল, কাগজ, সফট ড্রিংকস, চা ও কফির উৎপাদন কমে গেছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে শিল্পোদ্যোক্তাদের মধ্যে যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে তার প্রভাব পড়ছে শিল্পের উৎপাদনে।
শ্রম অসন্তোষসহ মূলধন সংকটে তৈরি পোশাকসহ বস্ত্র খাতের শিল্পগুলো সংকটে পড়েছে। রড, সিমেন্টের শিল্পগুলো সংকটে আছে ব্যাপকভাবে ভোক্তা চাহিদা কমে যাওয়ায়। সংকট মোকাবিলায় উদ্যোক্তা-ব্যবসায়ীরা সরকারের উপদেষ্টা থেকে শুরু করে বিভিন্ন সংস্থা প্রধানের সঙ্গে আলোচনা করছেন। কিন্তু সমাধান মিলছে না।বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, গত বছর আগস্টে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পরও বড় থেকে ছোট ও মাঝারি শিল্পের উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব বিদ্যমান রয়েছে। গত সেপ্টেম্বরের তুলনায় অক্টোবরে উৎপাদন কমেছে এমন শিল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে- বস্ত্র খাতের গার্মেন্ট, নিটওয়্যার, নিট ফেব্রিক্স, বিল্ডিং, শিপস অ্যান্ড ফ্লোটিং স্ট্রাকচার, কাগজ, সার, পেট্রোলিয়াম পণ্য ও ফলজ প্রক্রিয়াজাত পণ্য।
বস্ত্র খাতের সংকট নিয়ে বিকেএমইএ’র প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাতেম বলেন, আমাদের মূল চ্যালেঞ্জ জ্বালানি খাত, আইনশৃঙ্খলার অবনতি, ব্যাংকিং খাত, কাস্টমস সংক্রান্ত শর্ত; এসব সমস্যা সমাধান না হলে নিশ্চিতভাবে শিল্পের উৎপাদন হ্রাস পাবে, যা রপ্তানি আয়েও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।