বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৯ অপরাহ্ন
দৈনিক দেশ সংবাদঃআলেম-উলামারা অভিযোগ করে বলেন, সাদপন্থিরা হচ্ছে আওয়ামী লীগের দোসর। আওয়ামী লীগ চলে গেলেও তারা এখন বর্তমান সরকারের উপদেষ্টাদের ভুল বোঝানোর চেষ্টা করছে। ইসলামকে বিভক্ত করার চেষ্টা করছে। যদি মাওলানা সাদকে দেশে এনে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হয়, তাহলে এই দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমান মানুষ সেটা মেনে নেবে না।
বিশ্ব ইজতেমায় তাবলিগ জামাতের একাংশের আমির মাওলানা সাদ কান্ধলভীর আগমনকে কেন্দ্র করে তাবলিগ জামাত দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এক ভাগ মাওলানা সাদকে ইজতেমায় আসতে দিতে চান না। আরেক ভাগ তাকে আনতে চান। বিশ্ব ইজতেমায় যেকোনো মূল্যে তাবলিগ জামাতের অন্যতম মুরুব্বি মাওলানা সাদকে উপস্থিত করার দাবি জানিয়েছেন তার অনুসারীরা। একইসঙ্গে এবার প্রথম পর্বে ইজতেমা করার দাবিও জানিয়েছেন তারা। সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইজতেমার তারিখ নির্ধারণের সভায় উপস্থিত হয়ে এ দাবি জানান তারা।সাদপন্থিদের দাবির পর মঙ্গলবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তাদের বিরুদ্ধে ইসলামি মহাসম্মেলন ডাকা হয়। মহাসম্মেলনের উদ্যোগতারা হুঁশিয়ারি দেন, তাবলিগ জামাতের ইজতেমাকে কেন্দ্র করে যদি স্বঘোষিত আমির মাওলানা সাদ ও তার অনুসারীদের এ দেশে আসতে দেওয়া হয়, তাহলে এই অন্তর্বর্তী সরকারকেই দেশ ছেড়ে পালাতে হবে,
বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, বিশ্ব ইজতেমাকে কেন্দ্র করে স্বঘোষিত আমির সাদ ও তার অনুসারীরা বিশৃঙ্খলা করার পরিকল্পনা নিয়েছে। আমরা কোনোভাবেই সেটি হতে দেব না। তাদের সমস্ত ষড়যন্ত্র যেকোনো মূল্যে আমরা ব্যর্থ করে দেব।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলব, আপনারা রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন। আমরা আপনাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করব। আপনাদের মনে রাখতে হবে, ছাত্রজনতার আন্দোলনে অনেক ওলামায়ে কেরাম শাহাদাতবরণ করেছেন। আমরা শাপলা চত্বরে জীবন দিয়েছি। আওয়ামী জালিম সরকারের অনেক অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হয়েছি।
বিশিষ্ট এই ইসলামি ব্যক্তিত্ব আরও বলেন, বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে আজকের সম্মেলন থেকে ওলামায় কেরামের পক্ষ থেকে যে ঘোষণা দেওয়া হবে, সরকারকে সেই নির্দেশনা মানতে হবে। এর বাইরে কারও সিদ্ধান্ত তৌহিদী জনতা মেনে নেবে না।
এ সময় মাওলানা আব্দুল হামিদ (পীর মধুপুর) বলেন, বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে সরকার দুই পক্ষের সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে। আমি বলব- কিসের পরামর্শ, এই সম্মেলন থেকে যে সিদ্ধান্ত আসবে, সরকারকে এটাই বাস্তবায়ন করতে হবে। ভিন্ন কোনো চিন্তা করলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা সরকারকে সহযোগিতা করব। সরকারকেও আলেমদের সহযোগিতা করতে হবে। নয়তো পূর্ববর্তী সরকারের মতোই তাদের দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হবে। স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, যদি বেয়াদবকে বাংলাদেশে আসতে দেয়, তাহলে সরকারকেও পালিয়ে যেতে হবে।